🕯️ অদ্ভুত ছায়া: গ্রামের পুরোনো বাড়ির ভয়ঙ্কর কাহিনি ভূমিকা
ভূতের গল্প শুনতে আমরা সবাই কমবেশি ভালোবাসি। আজ আমি শোনাব এক পুরোনো গ্রামের বাড়িকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর কাহিনি। এটি বাস্তব নাকি নিছক কল্পনা, সেটি আপনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
গল্প শুরু:
গ্রামের এক প্রান্তে ছিল এক ভাঙাচোরা, পরিত্যক্ত বাড়ি। লোকজন বিশ্বাস করত, সন্ধ্যার পর সেখানে অদ্ভুত ছায়া ঘুরে বেড়ায়।
সাহসী এক যুবক, নাম শুভ, ঠিক করল সে নিজেই সত্যিটা খুঁজে বের করবে। রাত বারোটার সময় সে টর্চ নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকল।
ভাঙা দরজার ভেতরে ঢুকতেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা হাওয়া শরীর শিহরিত করে তুলল। হঠাৎ উপরের তলার জানলায় এক মানব-আকৃতির ছায়া দেখা গেল। শুভ সিঁড়ি বেয়ে উঠল, কিন্তু পৌঁছে দেখল—সেখানে কিছুই নেই।
রহস্যময় সাক্ষাৎ
ঠিক তখনই তার পেছনে শোনা গেল ফিসফিস আওয়াজ—
“তোমার জন্য তো আমি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি…”
আলো জ্বলে উঠতেই শুভ দেখল এক ফ্যাকাশে মুখের মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দু’চোখ জ্বলজ্বল করছে লালচে আলোতে। নিচে তাকাতেই দেখা গেল—তার পা নেই!
মেয়েটি ভেসে ভেসে শুভর দিকে এগোতে লাগল। ভয়ে শুভ দৌড়ে দরজার দিকে ছুটল, কিন্তু দরজা ভেতর থেকে আটকে গেল।
শেষ পরিণতি
শেষ মুহূর্তে দরজাটা খুলে গেল, শুভ প্রাণপণে দৌড়ে গ্রামে ফিরে এল। লোকজন জড়ো হয়ে তার কথা শুনল।
পরদিন সবাই মিলে সেই বাড়িতে গিয়ে দেখল—ভেতরে ধুলো আর মাকড়সার জাল ছাড়া কিছু নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ আজও বলে, রাত গভীর হলে বাড়িটার জানলায় দুটো লালচে চোখ জ্বলতে দেখা যায়।
উপসংহার
শুভ আজও জীবিত, কিন্তু সে আর কখনো রাতের বেলা একা বেরোয় না।
আপনারা কি মনে করেন, এটা শুধুই কল্পনা নাকি সত্যিই কোনো অদ্ভুত ছায়ার অস্তিত্ব আছে? 👀
0 Comments